যে কারনে রিয়াল ছাড়লেন রোনালদো

যে কারনে রিয়াল ছাড়লেন রোনালদো 

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে চলে গেছেন তা বেস কিছু দিন  হয়ে গেছে। এর মধ্যেই রোনালদো কে  নিয়ে জুভেন্টাসের উল্লাস আকাশ ছুঁয়েছে। তারা রোনালদোর মত প্লেয়ার কে দলে নিতে পেরে অনেক বেশি আনন্দিত 

 এক ধাক্কায় ইতালিয়ান লিগের জনপ্রিয়তা বেড়েও গেছে। জনপ্রিয়তা বেড়েও গেছে জুভেন্টাসের এর ও রোনালদোকে কেনার প্রথম দিনেই জুভেন্টাসের ফেসবুক ইন্সতাগ্রাম ও টুঁইটার এ ফলোয়ার বেড়েছে ১৫ লক্ষ । এক সিজন এ জুভেন্টাসের জার্সি বিক্রির রেকর্ড হয়ে গেছে । রিয়াল মাদ্রিদের জনপ্রিয়তায় টান পড়েছে কি না, সে তর্কে না গিয়েও বলা যায়, লা লিগার ব্র্যান্ডমূল্য একটু হলেও কমে গেছে।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ অন্যতম  করন হল  রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতির নেইমার কে নিয়ে অতি আগ্রহ শেষবার ব্যালন ডি অ’র শিরোপা প্রদান অনুষ্ঠান এ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ব্যালন  ডিয়ার জিতলে ও তিনি আগের মত উচ্ছ্বাসিত ছিলেন না বরং নেইমার কে বলছিলেন যে ব্যালন ডিয়ার জিততে হলে রিয়াল এ আসতে হবে স্বভাবতই এ কথায় খুব্দ হয়েছিলেন রোনালদো  

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার একটি কারন হল তার বেতন সমায়ের সেরা ফুটবলার হয়ে ও তার বেতন ছিল তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেসি ও নেইমার এর থেকে অনেক কম যেখানে মেসি ৫০ মিলিয়ন ইউরো   নেইমার ৩৬ মিলিয়ন ইউরো তাদের বিপরীত এ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বেতন ২১ মিলিয়ন ইউরো যা  এজেকুয়েল লাভেজ্জি, ২৩ মিলিয়ন ইউরো  অস্কার, ২৪ মিলিয়ন ইউরো   কার্লোস তেভেজ, ৩৮ মিলিয়ন ইউরো এদের থেকে ও কম

 মেসি-নেইমারদের তুলনায় অনেক কম বেতন বা পারিশ্রমিক পান, এ নিয়ে বেশ কয়েকবারই মনের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ সুপারস্টার। অনেক দিন  থেকেই তাই ক্লাব কর্তাদের কাছে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে  ছিলেন কিন্তু ক্লাব সভাপতি রোনালদোর কথায় কর্ণ পাত করেন নি যা রোনালদো কে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে 

এছাড়া স্পেন এর কর বিভাগ এর সাথে রোনালদোর অনেক দিন যাবত জামেলা চলছিল সে ব্যাপার এ রিয়াল মাদ্রিদ কেন জানি নিষ্ক্রিয় ছিল তারা তাদের প্রান ভোমরা কে বাঁচাতে তেমন কোন পদক্ষেপ নেইনি 

এই সকল কারণই মুলত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ  ছেরে জুভেন্টাসে পারি জমিয়েছেন